সাংবাদিক মারধর ও ক্যামেরা ভাঙচুরের ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপকসহ (ডিজিএম) সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন মোহনা টেলিভিশনের বগুড়া প্রতিনিধি আতিক রহমান।
আদালতের বিচারক আসমা মাহমুদ বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্য তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব ব্যুরোকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বগুড়ার মোকামতলা জোনাল অফিসার ডিজিএম রেজ্জাকুর রহমান, এজিএম গোলাম রব্বানী ও অফিসের অজ্ঞাত ৫ কর্মচারীকে।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, মোকামতলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নানা অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট গত ২৬ অক্টোবর মোহনা টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। রিপোর্টের ২য় পর্বের জন্য গত ২ ডিসেম্বর মোহনা টিভির সাংবাদিক, ক্যামেরাপারসন রবিউল ইসলামসহ বেশকয়েকজন সাংবাদিক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিস পরিদর্শনে যান।
সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে ডিজিএম রেজ্জাকুর রহমান সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে গালি গালাজ করতে থাকেন। একপর্যায় এজিএম গোলাম রব্বানীসহ অফিসের কর্মচারী, বহিরাগত দালাল সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। এসময় মোহনা টিভির ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় সাংবাদিক আতিক রহমান বুধবার (৩ ডিসেম্বর) শিবগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে তার মামলা গ্রহণ না করে জিডি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এ কারণে তিনি বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা করেন।