সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ। অগ্রহায়ণের হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ সরিষার ফুল। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত যেমন মাঠ, তেমনি বাম্পার ফলনের হাতছানিতে কৃষকের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। যেন সরিষার হলুদ হাসিতে স্বপ্ন দেখছে কৃষক।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে যশোর সদর উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা সরিষা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। জেলায় সাধারণত বারি সরিষা-১৪ ও সরিষা-১৫, সোনালি সরিষা (এসএস-৭৫) ও স্থানীয় টরি-৭ আবাদ হয়।
জেলার আট উপজেলায় এবার ১২ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। গত বছর ৯ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছিল। যা গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার জমিতে বেশি সরিষা আবাদ হয়েছে।
এর মধ্যে যশোর সদর উপজেলায় ২ হাজার ৫শ হেক্টর, শার্শা উপজেলায় ১ হাজার ৫শ হেক্টর, ঝিকরগাছা উপজেলায় ২ হাজার হেক্টর, চৌগাছা উপজেলায় ১ হাজার হেক্টর, অভয়নগর উপজেলায় ১ হাজার ৫শ হেক্টর, বাঘারপাড়া উপজেলায় ১ হাজার ৫শ হেক্টর, মণিরামপুর উপজেলায় ১ হাজার ৫শ হেক্টর, কেশবপুর উপজেলায় ১ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে ফলনেও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এমন আশা কৃষকদের।
যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট এলাকার কৃষক শামসুর আলি বলেন, ‘চলতি মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে বারি-১৪ সরিষা চাষ করেছি। মাঠে বেশ ফুল ফুটেছে। আসা করা যায় ফলন ভালো হবে।’
যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এমদাদ হোসেন শেখ জানান, যশোর জেলায় ১২ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। কৃষকের মাঝে ভালো মানের বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে সরিষার ভালো ফলনের আশা করা যাচ্ছে।