স্কুলছাত্রী সাবিনা আকতার (১৩)। দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগে ভুগছে। সম্প্রতি টাকার অভাবে তার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে।
সাবিনা আকতার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ কুটিপাড়া গ্রামের ছামিউল ইসলামের মেয়ে ও স্থানীয় বামনডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
জানা যায়, সাবিনা আকতারের দুই কিডনিতে পানি জমেছে। তার বাবা ছামিউল ইসলাম রোগাক্রান্ত সাবিনার চিকিৎসা করাতে সহায়সম্বল হারিয়ে পথে বসেছেন। সম্প্রতি আটকে গেছে তার চিকিৎসা। আর্থিক সমস্যার কারণে চিকিৎসা করাতে পারছেন না দিনমজুর বাবা ছামিউল।
সাবিনার স্বজনরা জানান, প্রায় এক বছর আগে হঠাৎ করে শরীর ফুলে যায় সাবিনার। তারপর এলাকার পল্লী চিকিৎসকের দেওয়া হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খেয়েই চলে সাবিনার চিকিৎসা। কিন্তু ওষুধ খাওয়ার পর সাবিনার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। পুরো শরীরে পানি জমতে থাকে।
পরে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখালে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সাবিনার কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে। এরপর থেকে টাকার অভাবে অনিয়মিত ওষুধ খেয়েই কোনরকমে চিকিৎসা চলছিলো তার। কিছুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। কিন্তু চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার মতো অর্থ না থাকায় হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়েছে সাবিনাকে।
সাবিনা বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের প্রধান ডা. নিয়াজ আহাম্মেদের তত্ত্বাবধানে আছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে ইতোমধ্যে সাবিনার একটা কিডনি ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে। আরেকটা কিডনিও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
সাবিনাকে দ্রুত অপারেশন করতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তা না হলে কিডনি দুটোই পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে। সাবিনার অপারেশন করাতে প্রাথমিকভাবে তিন লাখ টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার ব্যয়ভার চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
সাবিনার বাবা ছামিউল ইসলাম বলেন, আমি দিনমজুরি করে যা রোজগার করি তা দিয়ে কোনরকমে সংসার চলে। অন্যের ক্ষেত-খামারে কাজ করে মেয়ের চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। ইতোমধ্যে মেয়ের চিকিৎসা করতে গিয়ে অনেক ধার-দেনা করেছি। এখন তিন লাখ টাকা যোগার করে মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছি না। হয়ত বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে আমার মেয়ে। আমি সমাজের দানশীল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে আর্থিক সাহায্য প্রত্যাশা করছি।
সাবিনার চিকিৎসায় সহায়তা করতে তার বাবা ০১৮৭২১০৯৬৬০ বিকাশ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।