বুনো লতা-পাতায় ছেয়ে গেছে ডোবা। লতার থোকায় থোকায় ফুটে আছে ফুল। ফুলের পাপড়ির বর্ণ সাদা। মাঝখানটায় হালকা বেগুনি। নাম কলমি ফুল। সম্পূর্ণ পাপড়ি মেলে নিজের সৌন্দর্য জানান দিচ্ছে ফুলটি।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে গৌরীপুর পৌর শহরের মাছুয়াকান্দা এলাকার একটি ডোবায় কলমি ফুলের এই সৌন্দর্য বার্তা২৪.কমের ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
তবে স্থানীয়রা জানান, গ্রামের পুকুর, ডোবা, বিল ও জলাশয়গুলোতে কলমি লতা ও ফুল সহজেই চোখে পড়ে। এরা জলকলমি নামেও পরিচিত। কলমি ফুল দেখতে সুন্দর হলেও সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণের কারণে কলমি শাকটাই সবার পছন্দ।
কলমি শাক এক ধরনের অর্ধ জলজ লতা। কলমি শাক পানিতে বা ভেজা মাটিতে জন্মে থাকে। এই শাক চাষের জন্য বেশি যত্নেরও দরকার হয় না।
কলমি লতা বন্যা ও খরা সহনীয় বলে প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে পারে। কোথাও কলমি লতা রোপণ করলে কিংবা গজালে অল্পদিনের মধ্যেই ঘন ঝাড়ে পরিণত হয়।
গৌরীপুর পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ মো. শফিকুল ইসলাম মিন্টু জানান, এক সময় বিল-জলাশয়-ডোবায় কোনো প্রকার পরিচর্যা ছাড়াই কলমি লতা বেড়ে উঠত। এখন কলমি শাক বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হয়। বাজারে এই শাকের চাহিদাও অনেক।