গাইবান্ধায় গরুর লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাব, আতঙ্কিত খামারিরা

গাইবান্ধা, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম গাইবান্ধা | 2023-09-01 05:39:41

গাইবান্ধায় ‘ল্যাম্পি স্কিন’ নামে ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গরু। প্রতিষেধক ও ভ্যাকসিন না থাকায় উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন খামারিরা।

জানা যায়, ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ (পক্স জাতীয়) গবাদিপশু, বিশেষ করে গরুর নতুন একটি রোগ এটি। ল্যাম্পি স্কিনের ভাইরাসটির উৎপত্তি আফ্রিকায়। এরপর ভারতে এটি দেখা যায়। সম্প্রতি অন্য দেশ থেকে আসা গরুর মাধ্যমে এই জীবাণু দেশে প্রবেশ করেছে।

প্রথমে গরুর চামড়ার উপরি অংশে টিউমার জাতীয় ও বসন্তের মতো গুটি গুটি উপসর্গ দেখা দেয়। এরপর দু-একদিনের মধ্যেই গরুর শরীরজুড়ে গুটি গুটি হয়ে ঘা এ পরিণত হয়। এ সময় শরীরে ১০৪-১০৭ ডিগ্রী তাপমাত্রার জ্বর দেখা দেয়। মুখ দিয়ে লালা পড়তে থাকে এবং গরু খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। অনেক সময় গরুর বুকের নিচে পানি জমে ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং ক্ষতস্থান পঁচে গিয়ে সেখান থেকে মাংস খুলে খুলে পড়ে।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) পলাশাবাড়ীর জগৎজানি গ্রামের হাবিজার রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই আমার গরুর শরীরে বিভিন্ন স্থান ফুলে উঠা শুরু করে। এরপর গরু খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। চিকিৎসক বলছেন রোগ ভালো হতে সময় লাগবে।

মকসুদ মিয়া নামের আরেক খামারি বলেন, শুধু আমাদের গ্রাম নয় পুরো জেলায় প্রায় কয়েকশ গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আমরা খুব চিন্তর মধ্যে আছি। জানি না ভাগ্যে কি আছে।

উপজেলা পশু সম্প্রসারণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজমির রহমান বলেন, এটি রোগটি মশা বাহিত ভাইরাস জনিত রোগ। এই রোগের কোনো ভ্যাকসিন নেই। আক্রান্ত গরুগুলোকে সাধারণ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, মশা ও মাছির মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়ায়। তাই আমরা খামারে গিয়ে এর আশপাশ পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। এটি যেন অন্য কোন পশুর মাঝে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য আক্রান্ত গরুকে মশারি দিয়ে রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আতঙ্কিত বা ভয়ের কোন কারণ নেই। এ রোগটি মানুষের হয় না এবং এ রোগে গরু মারা যায় না। রোগ সামান্য হলে ৪ থেকে ৫ দিনে ভালো হয়ে যায়। বেশি হলে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ লাগে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর