আজ ৯ ডিসেম্বর নেত্রকোনা পাক হানাদার মুক্ত দিবস। এ দিন নেত্রকোনা শহরকে পাক হানাদার মুক্ত করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের ফলে পাক বাহিনী শহর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। পথে মোক্তারপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন কৃষি ফার্মের কোনায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাক হানাদারদের মরণপণ লড়াই হয়।
এতে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার (আবু খাঁ), মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ এবং মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার শহীদ হন। আহত হন কমান্ডার আবু সিদ্দিক আহমেদ। অবশেষে লড়াই ছেড়ে পাক হানাদার বাহিনী ময়মনসিংহের দিকে পালিয়ে যায়। নেত্রকোনা শহর হয় পাক হানাদার মুক্ত। মুক্তিযোদ্ধারা দলে দলে শহরে প্রবেশ করে স্বাধীন বাংলার সবুজ জমিনে লাল সূর্য খচিত পতাকা উত্তোলন করে নেত্রকোনা শহরকে মুক্ত ঘোষণা করে বিজয় উল্লাস করে।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ‘নেত্রকোনা হানাদার মুক্ত দিবস’ পালিত হয়েছে।
সকালে স্থানীয় স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বেলা ১১টায় জেলা সদরের পাবলিক হলের সামনে থেকে বের করা হয় বিজয় র্যালি। র্যালি শেষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গার্ড অব অনার প্রদর্শন করা হয়।
দুপুরে পাবলিক হলে জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন হাবিবা রহমান খান শেফালী এমপি। চিন্ময় তালুকদারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, মেয়র নজরুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম, সাবেক কমান্ডার নূরুল আমিন, মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণি তালুকদার, আব্দুল মতিন খান, আইয়ুব আলী প্রমুখ।