নাটোরের বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন পেঁয়াজ। তাই একদিনের ব্যবধানে অর্ধেকে নেমে এসেছে পেঁয়াজের দাম। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে আসায় কমেছে দাম। তবে এখনও পুরাতন পেঁয়াজ আগের দামেই বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নাটোরের বাজারে প্রথম আসে দেশি নতুন পেঁয়াজ। সকালে শহরের স্টেশন বাজারে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয় ১০০ টাকায়। তবে বেলা বাড়ার সাথে কমতে থাকে পেঁয়াজের দাম। দুপুরে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৮০ টাকা।
নাজমা বেগম নামের এক ক্রেতা জানান, গতকাল তিনি পেঁয়াজ কিনেছেন ২১০ টাকা কেজি। আজ কম দামে পেয়ে ৮০ টাকায় কিনেছেন আরও ১ কেজি।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী বলেন, বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। সপ্তাখানেকের মধ্যে দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
আরেক ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াহাব বলেন, অসময়ের বৃষ্টিতে নাটোরের লালপুরসহ স্থানীয় বেশ কয়েকটি এলাকার পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। পানি নামার পর সেসব জমিতে নতুন করে পেঁয়াজ লাগানো হয়েছে। সপ্তাহদুয়েক পর বাজারে ওই পেঁয়াজগুলো উঠলে দাম পুরোপুরি মানুষের ক্রয়ক্ষমতায় চলে আসবে।
শাহজাহান আলী নামের আরেক ব্যবসায়ী জানান, তারা বেশি দামে কেনা পেঁয়াজই ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসা সাপেক্ষে দাম কমলে তাদেরও লোকসানে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে।
কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব, বাগাতিপাড়া শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আফতাব খান বলেন, পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দামে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠেছিলো। হুটহাট প্রশাসন বাজার মনিটরিং করলেও তা কোনো কাজে আসেনি। এখন নতুন পেঁয়াজে সরবরাহ বাড়লেই ভোক্তাদের স্বস্তি।