স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ১০ বা ১১ বছর আগের পুলিশ আর আজকের পুলিশ এক নয়। বঙ্গবন্ধু বলেছিলো, তোমরা জনগণের পুলিশ হও। পুলিশ আজ জনগণের পুলিশ হয়েছে। জনগণের সেই আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
তিনি বলেন, এখন আর কেউ পুলিশ দেখলে দূরে চলে যায় না। পুলিশের কাছে এসে তাদের সব কথা বলে। এইটাই ১০ বছর আগের আর আজকের পুলিশের পার্থক্য।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে জামালপুরে এক মতবিনিময় সভায় যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপাকালে এসব কথা বলেন তিনি। জেলার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক এই মতবিনিময় সভাটি পুলিশ অফিসার্স মেস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জ্বালাও-পোড়াওয়ে অনেক পুলিশ জীবন দিয়েছেন। পুলিশকে পিটিয়ে জখম করছে এইটাও আমরা দেখেছি। পুলিশ এদেশের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য। তবে কিছু পুলিশ আইন ভঙ্গ করেন। তাদের তাৎক্ষণিক আইনের আওয়াতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা ২০৪০ এর স্বপ্ন দেখছি। বাংলাদেশ আর পিছিয়ে যাবে না। পুলিশকে আমরা আরো শক্তিশালী করছি। বাংলাদেশ যেইভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা আরো এগিয়ে যাবো। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে সারা বিশ্বে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারাগারে খালেদা জিয়া খুব ভালোভাবেই আছেন। তাকে সবচেয়ে ভালো হাসপাতালে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। তার ডায়বেটিস, ব্ল্যাড প্রেসার সব ঠিক আছে।
খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া না দেওয়া এটি আদালতের ব্যাপার। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। কারণ আদালতের ওপর বর্তমান সরকার কখনো হস্তক্ষেপ করেনি। আর করবেও না।
বিএনপির আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আন্দোলনে অলরেডি আছে। তাদের আন্দোলনে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না।
জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ সফল হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ জঙ্গিদের ঘৃণা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সবাই সারা দিয়েছিলো বলেই আমরা জঙ্গি দমন করতে সক্ষম হয়েছি।
জেলা পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সদর আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন (সিআইপি), এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক।