বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেখা যায় অনেকেই বাংলাদেশের পতাকা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন, সঙ্গে বিলিয়ে দেন নিখাদ দেশপ্রেম।
বিজয়ের মাস উপলক্ষে গত দশদিন ধরে মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিজয় উল্লাসে লাল সবুজের পতাকা বিক্রির জন্য এদিক সেদিক চষে বেড়াচ্ছেন এক ফেরিওয়ালা। নাম তার ওহিদুল শেখ। গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আলগীতে। বাজারে, রাস্তায়, শহরের অলিতে-গলিতে, স্কুল ও কলেজের সামনে পতাকা বিক্রি করে সংসার চালান তিনি। পেশাগতভাবে তিনি একজন কসমেটিকস বিক্রেতা। তাই একুশে ফেব্রুয়ারি, ১৬ ডিসেম্বর ও পহেলা বৈশাখ ও এ রকম বিভিন্ন সময় বিক্রি করেন পতাকা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জেলার শিবচর উপজেলার পাচ্চর বাজারে দেখা হয় এই চল্লিশ বছর বয়সী মানুষটির সঙ্গে। ছোট থেকে বড়, সব আকারের পতাকা আছে তার কাছে। বিজয় দিবসকে সামনে রেখে পতাকা কিনছেন অনেকেই। গত ৭ বছর যাবত দেশের জাতীয় দিবস ও বিশ্বকাপ ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার সময় বিভিন্ন এলাকায় পতাকা বিক্রি করে আসছেন তিনি।
ওহিদুল শেখ বলেন, বছরের অন্য সময় জাতীয় পতাকা কেনার প্রতি মানুষের তেমন আগ্রহ থাকে না। ভাষার মাস, স্বাধীনতার মাস ও বিজয়ের মাসকে সামনে রেখে মানুষ জাতীয় পতাকা কেনে। এ ছাড়া বছরের বিশেষ দিনগুলো উপলক্ষে মানুষ ঘর-বাড়ি, অফিস-আদালত এমনকি যানবাহনে পতাকা লাগায়। তাই এ সময় আমি পতাকা বিক্রি করি।
পতাকা বিক্রির মাঝে কথার এক ফাঁকে ওহিদুল শেখ বলেন, দুই ছেলে আর এক মেয়ের সংসারের একমাত্র ভরসা এখন আমি। এ পতাকা বিক্রি করে সংসার ও ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চলে। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পতাকা বিক্রি করি।
তিনি জানান, বড় আকারের একটি পতাকা ২শ থেকে ৩শ টাকা, মাঝারি আকারের পতাকা ১৫০ থেকে ২শ টাকা, ছোট আকারের পতাকা প্রকারভেদে ২০ টাকা থেকে ১শ টাকায় বিক্রি হয়। এ ছাড়াও ছোট আকারের পতাকা ১০ টাকা এবং হেড বেল্ট ও হ্যান্ড বেল্ট প্রতিটি ১০ টাকা দরে বিক্রি করেন তিনি। প্রতিদিন দুই হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকার মতো বিক্রি হয়। তাতে প্রায় অর্ধেক লাভ হয়।