জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে ‘সুলতানা রাজিয়া’ পাঠাগার

গাইবান্ধা, দেশের খবর

তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা | 2023-09-01 19:34:44

‘পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে পাঠকদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে ‘সুলতানা রাজিয়া’ নামের পাঠাগার।

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ছান্দিয়াপুর বাজারে অবস্থিত এ পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বইপ্রেমী মানুষদের কাছে ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে বেলাল হোসেন নামে উপজেলার ছান্দিয়াপুর গ্রামের এক যুবক ব্যক্তিগত উদ্যোগে সুলতানা রাজিয়া পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করেন। এতে প্রাথমিকভাবে ৩০টি বই নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে সাহিত্য, জীবনী, গল্প-কবিতা, চলচ্চিত্র, সাধারণ জ্ঞান, ধর্মীয়সহ অন্যান্য প্রায় ৬ শতাধিক বই রয়েছে। আর এইসব বই পড়ে জ্ঞান আহরণ করতে প্রতিদিন আসেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বইপ্রেমী মানুষরা।

পাঠকদের উন্নত মানসিকতার সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে পাঠাগারটি। ফলশ্রুতিতে ১৭ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলা গণগ্রন্থাগারের আওতায় পাঠাগারটিকে সরকারি তালিকাভুক্ত করা হয়।

সুলতানা রাজিয়া পাঠাগারের আয়োজনে বিভিন্ন জাতীয় দিবস, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, শিক্ষামূলক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান, কুইজ প্রতিযোগিতা ও এলাকার উন্নয়নমূলক কাজসহ একাধিক সামাজিক কাজের সচিত্র প্রতিবেদন দেখানো হয়।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে সুলতানা রাজিয়া পাঠাগারে বই পড়তে আসা মুন্নি আকতার নামের এক ছাত্রী জানান, গ্রামে বসবাস করায় দূরের ভালো কোনো পাঠাগার বা গ্রন্থাগারে বই পড়ার সুযোগ হয় না তার। ফলে সুলতানা রাজিয়া পাঠাগারে বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে আসেন তিনি।

শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সুলতানা রাজিয়া পাঠাগার মানুষকে আলোকিত করার যে স্বপ্ন দেখেছেন, সেটি সবার আদর্শ হওয়া উচিত। তার স্বপ্নকে টিকিয়ে রাখতে হলে তাকে সবার সহযোগিতা করা দরকার।’

পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বেলাল হোসেন বলেন, ‘পাঠাগারের শুরুতে আমি বলেছিলাম রবি ঠাকুরের সেই বিখ্যাত উক্তি-যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে। কিন্তু আজ থেকে সেই কথাটি আর বলব না। পাঠকদের উপস্থিতি বলে দেয় আজকে সুলতানা রাজিয়া পাঠাগারকে কানায় কানায় সুশোভিত। সবার সহযোগিতায় সুলতানা পাঠাগারটি এগিয়ে যাবে বহুদূর এবং বিভিন্ন অপকর্ম থেকে দূরে থাকবে তরুণ সমাজ।’

পাঠাগারের উপদেষ্টা তোফায়েল হোসেন জাকির বলেন, ‘পাঠাগার এমন একটি জায়গা, যেখানে মানুষ পৃথিবীর বিচিত্র সব জ্ঞানভাণ্ডারের সঙ্গে পরিচিত হবার সুযোগ পায়। নিত্যনতুন উপলব্ধি আর অভিজ্ঞতায় নিজেকে বিকশিত করা যায় পাঠাগারের মাধ্যমেই।’
 
সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহারিয়ার খান বিপ্লব বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সুলতানা রাজিয়া পাঠাগারটি পরিদর্শন করা হয়েছে। যুগোপযোগী পথচলার জন্য পাঠাগারের সংশ্লিষ্টকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’

একই কথা জানালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নবী নেওয়াজ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর