চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ আসনের সাংসদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সমর্থিতদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের কারণে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় ও আইনশৃঙ্খলা সভা পণ্ড হয়ে গেছে। উভয় পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলায় পুলিশসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমানের মাঝে বাত-বিতণ্ডা হতেও দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৬ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
ঘটনার বিবরণীতে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এতে স্থানীয় সংসদ সদস্য সভায় উপস্থিত হওয়ার আগে এমপি অনুসারী ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পক্ষের সমর্থকরা জড়ো হতে শুরু করে। এমপি উপজেলা পরিষদে উপস্থিত হলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ হামলা-পাল্টা হামলা শুরু হয়।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রকিব বার্তা২৪.কম-কে জানান, উভয় পক্ষ শান্ত করতে পুলিশ প্রথম থেকেই চেষ্টা করে। পরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ও ডিবি পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি জানান, সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির কারণে মাসিক সমন্বয় ও আইনশৃঙ্খলা সভা স্থগিত করা হয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, মাসিক সমন্বয় সভা ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য না এমন লোক এবং মাদক কারবারি পরিষদে উপস্থিত হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, আমি আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভার নিমন্ত্রণ পেয়ে উপস্থিত হওয়ার পর উদ্দেশ্যমূলক ভাবে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ইউএনওর কার্যালয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আমার সাথে রূঢ় আচরণ করেছেন।