১৫ দিন ধরে বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পুনরায় পচনশীল খাদ্যদ্রব্য জাতীয় কাঁচামাল আমদানি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে কর্মব্যস্ততা ও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বন্দরে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে এ বন্দর দিয়ে কাঁচামাল আমদানি শুরু হয়।
আমদানিকারক কামাল হোসেন জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এ পথে আমদানিকারকদের আগ্রহ বেশি। কিন্তু কিছু বাণিজ্যিক সমস্যার কারণ বেনাপোল বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল ব্যবসায়ীরা। তবে এখন এ পথে আবার কাঁচামাল আমদানি শুরু হয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হবে, তেমনি রাজস্ব আয়ও বাড়বে।
বন্দর শ্রমিকরা জানান, কাঁচামালের আমদানি বন্ধ থাকায় তারা খুব কষ্টের মধ্যে ছিলেন। আমদানি শুরু হওয়ায় তাদের কষ্ট অনেকটা কমে এসেছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ইনামুল হক জানান, কাঁচামাল আমদানি বন্ধ থাকার পর আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে। বর্তমানে বন্দরে ২৪ ঘণ্টা বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত পণ্য খালাস নিতে পারে সে জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। এসব পণ্যের মধ্যে ৩৫ থেকে ৪০ ট্রাক রয়েছে মাছ, পানপাতা, আপেল, লেবু ও টমেটোসহ বিভিন্ন পচনশীল জাতীয় খাদ্যদ্রব্য। প্রতিদিন এসব আমদানি পণ্য থেকে সরকারের প্রায় দেড় কোটি টাকা রাজস্ব আসে।
উল্লেখ্য, ঘোষণা ছাড়া অতিরিক্ত পণ্য আমদানির অভিযোগ এনে গত ৩০ নভেম্বর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা আমদানিকারকদের ৯ ট্রাক পানপাতা আটক করে। এর জের ধরে বেনাপোল বন্দরে খাদ্যদ্রব্য জাতীয় কাঁচামাল আমদানি বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।