ঝালকাঠিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহ আলম খান ফারসু (৩৫) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া আরও ২১ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে শহরের অতুল মাঝি খেয়াঘাট এলাকায় পৌর কাউন্সিলর ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির খান এবং যুবলীগ নেতা কামাল শরীফ সমর্থকদের মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হুমায়ুন কবিরের ছোট ভাই।
জানা গেছে, ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শেষে বাড়ি ফেরার পথে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা কামাল শরীফ বার্তা২৪.কম-কে জানান, ঘটনার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। সম্মেলন শেষে বাড়ি ফেরার পথে হুমায়ুন গ্রুপের সমর্থকরা তার ভাই ও সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে তার ভাইসহ বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হন। তাদের চিকিৎসা করার জন্য শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে জানান, হাসপাতালে মোট ২১ জন চিকিৎসা নিতে আসে। এদের মধ্যে একজনের পা থেকে একটি গুলি বের করে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত ছয়জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে এবং ১০ জনকে শেবাচিম হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
ঝালকাঠি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মাহামুদ হাসান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ হবার কোনো তথ্য জানা নেই। তবে সংঘর্ষের ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ও স্বাভাবিক রাখার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’