শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে। তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে টানা দুই দিন থেকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ৬টায় শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস । এতে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। প্রতিদিন ২০-২৫ শিশু ও বয়স্করা সর্দি জ্বর ও কাশি নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস জানায়, শীতের তীব্রতা বাড়ছে। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ এই দুইটি উপজেলা জুড়ে পাহাড় ও চা বাগান বেষ্টিত এলাকা। ভোরে ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়া থাকছে জেলার প্রত্যন্ত এলাকা। সূর্য ডুবার সঙ্গে সঙ্গে এখন প্রতিরাতেই মৃদু বাতাস বইছে। এতে বিপাকে পড়তে শুরু করেছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের সহকারি জাহিদুল ইসলাম মাসুম জানান, আজ সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে অনুযায়ী ৩ দিন ধরে শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল হাইল-হাওরের বড় গাঙিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মিন্নত আলী জানান, শীত পড়ার সাথে সাথে মৎস্য অভয়াশ্রম ও পাখির অভয়ারণ্য বাইক্কা বিলে কিছু কিছু করে অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। এতে বাইক্কা বিলে এখন দর্শনার্থীদের আগমন শুরু হয়েছে। সপ্তাহে শুক্রবার, শনিবারসহ ছুটির দিনগুলোতে পর্যটক, দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেশি থাকে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নজরুল ইসলাম ও কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আশেকুল হক বলেন, শীতার্ত দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে শুরু করেছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুছ বলেন- ‘দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে। গেলো দু’দিনও একই অবস্থা ছিলো।