১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয় উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর, গোলাম নবী সাটুসহ নাম না জানা হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে মুক্ত হয় এই জেলা।
মার্চ মাসে যুদ্ধ শুরু হলেও প্রথম দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যুদ্ধের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। ১৯ এপ্রিল রাতে শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পাকবাহিনী। শহর দখল করে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তারা।
তারপর পাক বাহিনীকে প্রতিহত করতে সংগঠিত হতে থাকে মুক্তিযোদ্ধারা। এসময় প্রশিক্ষণ নিতে ভারতেও পাড়ি জমান অনেকে। শেষের দিকে জেলার বেশ কিছু স্থানে সম্মুখ যুদ্ধে আহত ও নিহত হয় অনেকে। ১৪ ডিসেম্বর শহরের রেহাইচর এলাকায় পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর।
এই খবর পেয়ে ৭ নম্বর সেক্টরের যোদ্ধারা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং পরে ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দীন, লেঃ রফিকুল ইসলাম, লেঃ আবদুল কাইউম খান স্ব স্ব বাহিনী নিয়ে ১৫ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে শত্রু মুক্ত করেন। ১৫ ডিসেম্বর ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের মরদেহ ঐতিহাসিক ছোট সোনামসজিদে সমাহিত করেন তারা।