ভ্রাম্যমাণ পিঠা বিক্রেতাদের ব্যস্ততা বেড়েছে

কুষ্টিয়া, দেশের খবর

এসএম জামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুষ্টিয়া | 2023-09-01 23:26:10

শীত এলেই বাঙালীর মনে আসে নানান ধরনের পিঠার কথা। পিঠা ছাড়া বাংলার শীত পরিপূর্ণ হয় না। শীতে পিঠা খাওয়ার রীতি বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতির একটি অংশ। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শহরের বাড়িতে ব্যস্ততার কারণে ঘরে বানানো পিঠা খেতে পারেন না অনেকেই। আর তাদের একমাত্র ভরসা রাস্তার মোড়ে জমে ওঠা বাহারি পিঠার দোকানগুলো।

কুষ্টিয়া শহরের রাস্তার পাশে ইতিমধ্যেই পিঠার দোকান নিয়ে বসেছেন ভ্রাম্যমাণ পিঠা বিক্রেতারা। শহরের কলেজ, মোড় হাসপাতাল, ছয় রাস্তার মোড়, মজমপুর গেট, মোল্লাতেঘরিয়া মোড়, বড়বাজার রেল গেট সহ বিভিন্ন স্থানে হরেক রকমের পিঠার দোকান বসেছে। শীতের আবেশ পড়তেই এসকল পিঠার দোকানগুলো জমে উঠেছে।

শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পিঠা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শীতের এই পিঠার প্রতি আগ্রহ অনেক বেশি। সকল শ্রেণী পেশার মানুষ মৌসুমি এই পিঠার স্বাদ গ্রহণ করতে আসে ফুটপাতের এই দোকানগুলোতে। তাই সাময়িক সময়ের জন্য এই পিঠার বাজার এখন থেকেই জমে উঠেছে।

কয়েকজন পিঠা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চিতই, কুলি, ভাপা, পাটিসাপটাসহ বিভিন্ন প্রকার পিঠা বিকি করছেন তারা। তবে ভাপা পিঠা আর চিতই পিঠার বিক্রি অনেক বেশি।

ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান থেকে পিঠা কিনছেন মাহিরুল ইসলাম

পিঠা খেতে আসা আব্দুল মজিদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, সন্ধ্যার পরে এই শীত সন্ধ্যায় আমরা বন্ধুরা মিলে প্রায়ই পিঠা খেতে বের হই। চিতই পিঠার সাথে সরিষা ভর্তা, ধনেপাতার ভর্তা জিভে জল আসার স্বাদের কারণেই প্রায়ই পিঠা খেতে আসি।

শহরের হাউজিং এলাকার বাসিন্দা মাহিরুল ইসলাম। তিনি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা। তিনি বলেন, পরিবার পরিজন নিয়ে শহরে থাকায় বাসায় পিঠা তৈরি করা হয়ে ওঠেনা। তাই পিঠার দোকান থেকে কয়েক ধরনের পিঠা কিনে বাসায় নিয়ে যাচ্ছি।

শহরের বিভিন্ন ফুটপাতের দোকান ঘুরে দেখা যায়, চিতই পিঠা ৫ টাকা, ভাপা পিঠা ৫-১০ টাকা, পাটিসাপটা ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে একাধিক দোকান ঘুরে দেখা যায়, মৌসুমি পিঠা খেতে এসে অনেকেই খোশ-গল্পের মধ্যেও সময় কাটাচ্ছেন।

পিঠা বিক্রেতা নয়ন আলী জানান, 'আমি শুধুই ভাপা পিঠা বিক্রি করে থাকি। ৫ টাকা এবং ১০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি করি।'

ছয় রাস্তা মোড়ের পিঠা ব্যবসায়ী রাশেদ জানান, 'আমি চিতই ও ভাপা পিঠা বিক্রি করি। দিনশেষে পিঠা বিক্রি করে ৫শ টাকার মতো লাভ হয়। চিতই পিঠার সাথে সরিষা ভর্তা, ধনেপাতার ভর্তা দেওয়ার কারণে অনেকেই এসে পিঠা খায় আবার অনেকেই বাসার জন্য নিয়ে যায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর