বগুড়ায় আগাম আলু চাষ করে লাভের মুখ দেখতে পারছেন না কৃষকরা। আলুর ফলন কম হওয়ায় এবং প্রতিদিনই আলুর দাম কমতে থাকায় কৃষকের লাভের আশা নিরাশায় পরিণত হয়েছে। আলু বিক্রি করে কৃষক লাভের মুখ না দেখলেও কয়েক হাত বদল হয়ে খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বগুড়ার মহাস্থানসহ অন্যান্য কাঁচাবাজার ঘুরে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বগুড়ার পাইকারি কাঁচা বাজার মহাস্থান হাট ঘুরে দেখা গেছে, আগাম জাতের আলু সাদা ১ হাজার টাকা মণ এবং লাল আলু ১ হাজার ৪শ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। মহাস্থান হাটে আলু বিক্রি করতে আসা শিবগঞ্জের রহবল গ্রামের কৃষক জহুরুল ও পীরগাছা গ্রামের মহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন বেশি দামের বিক্রি করার আশা নিয়ে তারা আগাম আলু চাষ করেছেন। আগাম চাষ করার কারণে ফলনও কম হয়েছে। সেই কারণে আলু বিক্রি করে তারা লাভবান হচ্ছেন না।
মহাস্থান হাটে আলু কিনতে আসা ব্যাপারী কামরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, পুরোদমে নতুন আলু বাজারে আসতে শুরু করেনি। তারপরেও প্রতিদিন মহাস্থান হাট থেকে দুই ট্রাক আলু দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।
এদিকে খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে লাল আলু ৬০ টাকা এবং সাদা আলু ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মহাস্থান হাট থেকে বগুড়া শহরে আসতে কয়েক হাত বদল হয়ে খুচরা বাজারে তা দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এবছর প্রায় ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৮৭ মেট্রিক টন। এই অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, বগুড়া জেলায় উৎপাদিত আলু স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে।