ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান (বিপিএম-সেবা) বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে শত্রুদের ছোড়া প্রথম বুলেটটি বিঁধে ছিল পুলিশেরই বুকে। এই দেশ স্বাধীন করা থেকে শুরু করে সকল ক্রান্তিলগ্নে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবু আমাদের মধ্যে সামান্য সংখ্যক পুলিশ সদস্যদের ভুলে বদনামের সম্মুখীন হতে হয়। আমাদের আচরণ পরিবর্তন করতে হবে। পুলিশের আচরণে কেউ যেন ক্ষুব্ধ না হয়।’
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ লাইন্স সভাকক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ফরিদপুর জেলা পুলিশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আলিমুজ্জামান বলেন, ‘থানা পুলিশ জনগণের সেবক। টাকা নিয়ে অবৈধকাজে কাউকে সহায়তা না করে আমাদের সচেতন হতে হবে। টাকা ছাড়া কাজ হয় না পুলিশের নামে থাকা এই বদনামটি ঘোচাতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। এ কারণে দেশ পিছিয়ে পড়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে নানা উন্নয়ন হচ্ছে।’ এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান, পুলিশ বিভাগে পদক প্রদানের উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক পুলিশ সুপার নুর মোহাম্মদ মোল্যা, ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) আনিসুজ্জামান বক্তব্য দেন।
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যদের মধ্য থেকে সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার মো. ইমারত হোসেন, ইন্সপেক্টর গিয়াস উদ্দিন, টিএসআই রইচ উদ্দিন, এসআই আব্দুস সামাদ, হালিম মাতুব্বর প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে ফরিদপুর জেলার ৭০ জন মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।