‘এক সময় মেলায় বসে ফুল বিক্রি করতাম। তখন অনেক বেচাকেনা হতো। কিন্তু এখন আর তেমন মেলা বসে না। সারা বছরে দু’একটা মেলা হয়। তাই বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে ফুল বিক্রি করি। এতে সংসার চলে না। খুব কষ্টে আছি।’
এভাবেই ব্যবসা ও জীবনের অসহায় পথচলার গল্প বলছিলেন কাগজের ফুল বিক্রেতা নওশের আলী সরদার। ষাটোর্ধ্ব নওশের ১৫ বছর ধরে এ ব্যবসা করছেন। তার বাড়ি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার চন্দ্র রামদিয়া গ্রামে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মেহেরপুরের গাংনী শহরে মাথায় ঝুড়ি বোঝাই ফুল বিক্রিকালে কথা হয় নওশেরের সঙ্গে।
নওশের জানান, ৬ ছেলের মধ্যে ৫ ছেলে মারা গেছে। এক ছেলে জীবিত থাকলেও সে অসুস্থ। তাই বুড়ো বয়সেও তাকে সংসারের ঘানি টানতে হচ্ছে।
তিনি জানান, কাগজ, প্লাস্টিক, চিকন পাইপ ও তার দিয়ে তৈরি করা ফুল বিক্রি করেন তিনি। ঢাকার চকবাজার থেকে এসব ফুল সংগ্রহ করেন। প্রতিদিন ১৫০-২০০ টাকার ফুল বিক্রি করেন তিনি। এ টাকায় তাদের ৩ জনের সংসার চলে না। পান না বয়স্ক ভাতাও।
নওশের বলেন, ‘দিন যত যাচ্ছে ততই অসহায় হয়ে পড়ছি। খুব কষ্টে আছি।’