সরকারি খাদ্য গুদামে কৃষক সেজে ধান সরবরাহ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগী। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুজনকে জেল দেয়া হয়।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বগুড়ার কাহালু উপজেলা খাদ্য গুদামে এ ঘটনা ঘটে। সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছেন কাহালু সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুদ্দোহা খান ও তার সহযোগী ধান ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন।
জানা গেছে, কাহালু সদর খাদ্য গুদামে দুই হাজার দুইশ মেট্রিকটন ধান কেনা হবে। এ জন্য লটারির মাধ্যমে দুই হাজার চারশ কৃষক নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার দুইশ কৃষকের কাছ থেকে এক টন করে ধান কেনা হবে এবং দুইশ জন কৃষক অপেক্ষামান তালিকায় থাকবেন। দুই হাজার দুইশ কৃষকের মধ্যে ধান সরবরাহ করতে কেউ ব্যর্থ হলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে কৃষক ধান সরবরাহ করবেন।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত খাদ্য গুদামে ১৫৮ জন কৃষক ১৫৮ মেট্রিক টন ধান সরবরাহ করেছেন। বেলা ১১ টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা সামছুদ্দোহা ও তার সহযোগী ইসমাইল দুই টন ধান খাদ্য গুদামে নিয়ে যায় এবং লটারিতে নির্বাচিত দুইজন কৃষকের নামে ধান সরবরাহ করার চেষ্টা করে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান সংবাদ পেয়ে পুলিশ নিয়ে খাদ্য গুদামে উপস্থিত হয়ে দুইজনকে হাতে নাতে আটক করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সামছুদ্দোহা খানকে এক মাস এবং তার সহযোগী ইসমাইল হোসেনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কৃষকরা যেন নির্ভয়ে খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহ করতে পারে এ জন্য অভিযান চালানো হয়েছে। সিন্ডিকেট করে কেউ ধান সরবরাহ করতে পারবে না।