বয়সের ভারে ন্যুব্জ আমেনা বেগম। শরীরের গঠনও জীর্ণশীর্ণ। চলাচল করেন লাঠিতে ভর দিয়ে। রোগ-শোকে অনেকটাই ক্লান্ত তিনি। বয়স হয়েছে ৮৭ বছর।
পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনই হাট ইউনিয়নের বাবুয়ানী জোত এলাকার মৃত মহির উদ্দিনর স্ত্রী তিনি।
স্বামী মারা গেছে প্রায় আড়াই বছর। হতদরিদ্র এই বিধবা শেষ জীবনে একটু সচ্ছলতার আশায় ধরনা দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে। চেয়েছেন একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড। আশ্বাস মিললেও এখনো জোটেনি কোনো কার্ড।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃদ্ধা আমেনার পাঁচ ছেলে। সবাই প্রাপ্ত বয়স্ক। কিন্তু তাদের নিজেদেরই চলতে খুব কষ্ট হয়। নুন আনতে পানতে ফুরায় অবস্থা। তবুও মাকে যতটুকু পারছেন সাহায্য করছেন।
বৃদ্ধা আমেনা বেগমের বড় ছেলে লুৎফর রহমান বলেন, আমাদের নিজেদেরই চলতে খুব কষ্ট হয়। ধারদেনা করে চলতাছি। এর মধ্যে অসুস্থ বৃদ্ধা মারে ওষুধ কিনে খাওয়ানো লাগে। চেয়ারম্যান, মেম্বারের কাছে বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য কতবার গেছি, কিন্তু লাভ হয় নাই।
আমেনা বেগম বলেন, আমি খুব অসুস্থ, একটা বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের অনেকবার গেছি। তারা শুধু আশ্বাস দিছে। এখন আর হাঁটাচলা করতে পারি না। তাই কোথায় যেতেও পারি না। সরকারের কাছে অনুরোধ শেষ বয়সে যদি একটা কার্ড করে দিত তাহলে আমার উপকার হত।
তিরনই হাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ৮৭ বছর বয়সেও হতদরিদ্র ওই বৃদ্ধা বয়স্ক ভাতা পাননি, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। অতিদ্রুত বৃদ্ধা আমেনাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।