কনকনে হাড়ভাঙা শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ। শীত নিবারণের প্রচেষ্টায় মানুষ গরম কাপড় পরিধান করেছে। কেউবা খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। কিন্তু এমন শীতের মধ্যে পাতলা একটি কাপড় শরীরে জড়িয়ে খালি পায়ে ভিক্ষা করছেন ঘীণ বেগম (৪০)।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ঘীণের দেখা মেলে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের মরাটারী এলাকার ঝাকুয়াপাড়া গ্রামে। তিনি এ এলাকার বাসিন্দা।
ঘীণ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি ভিক্ষা করে খাই। ভিক্ষা করে ভাত জোটানোই সম্ভব হয় না, শীতের কাপড় কিনব কীভাবে? তাই গরম কাপড় ছাড়াই থাকতে হচ্ছে। কেউ আমাকে একটি কম্বল দিলে এই ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতাম।’
স্থানীয় আব্দুল মান্নান, শফিকুল ও ফেন্সী বেগম বার্তা২৪.কমকে জানান, ঘীণরা দুই বোন। ঘীণ ভিক্ষা করেন এবং তার বোন মাঠে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তারা দুইজনেই অনেক কষ্টে আছেন।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি ঘীণকে চিনি। তার শীতবস্ত্র নেই এটা আমি জানতাম না। তিনি ইউনিয়ন পরিষদে আসলে তার শীত নিবারণের জন্য কোনো একটা ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করব।’
উল্লেখ্য, শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে কুড়িগ্রাম। এখানে তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।