উত্তর জনপদের নদী বেষ্টিত জেলা গাইবান্ধা। প্রতিবছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হন এ জেলার নদী তীরবর্তী মানুষ। তাদের ঘুরে দাঁড়াতে একমাত্র অবলম্বন নদ-নদীতে জেগে ওঠা বালুচরে ভুট্টার আবাদ। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়।
বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর জেলার সুন্দরগঞ্জে নদীর তীরবর্তী জেগে উঠেছে কাপাসিয়া, বেলকা, তারাপুরসহ বেশকিছু চর। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এসব চরে আবাদ করেছেন ভুট্টার। এসব ভুট্টার ক্ষেত যেন সবুজের সমারোহ। এখন দিনবদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
বেলকা চরের কৃষক সোহরাফ হোসেন জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও ৬ বিঘা জমিতে (বালুচরে) ভুট্টা চাষ করেছেন। এখন জমিতে সার-কীটনাশক ব্যবহার করছেন। প্রতি বিঘা ভুট্টা আবাদে তার খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে বিঘায় ৪০ থেকে ৪৫ মণ উৎপাদন সম্ভব। যার মূল্য প্রায় ২৫ হাজার টাকা হবে।
আরেক কৃষক এমদাদুল ইসলাম জানান, চরাঞ্চলের মানুষ ভুট্টা চাষেই নির্ভরশীল। এবারের ভুট্টা ক্ষেতে নানান রোগবালাই দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানির ঔষধ প্রয়োগ করেও কাজ হচ্ছে না তার। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার রেজা-ই-মাহমুদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ভুট্টা চাষ খুবই লাভজনক ফসল। এবারে রবি মৌসুমে শুধুমাত্র চরাঞ্চলে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন কৃষকরা। ক্ষেতগুলো নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। যাতে করে কৃষকরা অধিক লাভ করতে পারে, সে বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।’
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভুট্টার মোচা ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হলে সংগ্রহ করতে হবে। হেক্টর প্রতি হাইব্রিড জাতের ভুট্টা ৮ থেকে ১১ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া সম্ভব।