পৌষের শুরুতেই সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। গত তিন দিনে সাভারের আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি। পৌষ মাস যেন সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা ক্রমেই কমছে।
এদিকে, হঠাৎ শীত বেড়ে যাওয়ায় গরম পোশাক কেনার হিড়িক পড়ে গেছে। সাভারের ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেটগুলোতে শীতের পোশাক বেচাবিক্রি বেড়েছে। তবে ফুটপাতে ক্রেতাদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। সাভার ও আশুলিয়া একটি শিল্পাঞ্চল এলাকা। এখানে শ্রমিজীবী মানুষই বেশি।
তাই ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রেতাও প্রচুর। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় তুলনামূলক বেশি ছিলো।
ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে শহরের ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এসব দোকানে কম দামে বিদেশি পুরোনো গরম কাপড় মিলছে। দামে কিছুটা সস্তা হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার নারী-পুরুষ দোকানগুলোতে ভিড় করছেন।
বিকেলে সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সব এলাকায় শীতবস্ত্রের বিক্রি বেড়েছে। বেশি বিক্রি হচ্ছে ছোট বাচ্চা ও বয়স্কদের কাপড়। মাথার টুপি, পায়ের মোজা, হাতমোজা, মাফলার, সোয়েটার, জাম্পার, ফুলহাতা গেঞ্জি, কম্বলের দোকানের ভিড় চোখে পড়ার মতো। আর এ সুযোগে হকাররাও শীতের পোশাকের দাম হাঁকাচ্ছেন দ্বিগুণ। গত সপ্তাহেও যে পোশাক ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা এখন কমপক্ষে ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
জামগড়া এলাকার ফুটপাতের হকার শহিদ বলেন, হঠাৎ করে প্রচণ্ড শীত পরায়। সবাই গরম কাপড়ের কিনছেন। আর তাই বেচা-কিনাও ভালো হচ্ছে।
দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে যে দামে কিনছি এখন তার চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। কিছুটা লাভ না রেখে মাল বিক্রি করা যায় বলেন। এটারেই বানাইছে আমরা দাম বেশি নিতেছি।
বলিভদ্রবাজার এলাকার ফুটপাতে কম্বল বিক্রি করেন জিয়াউর। কথা হলে তিনি বলেন, গত তিন দিন ধরে বেচা-বিক্রি বাড়ছে। কিছুটা লাভের মুখ দেখতেছি। নাইলে তো সারাদিন মাছি মারা লাগে।
কম্বল কিনছিলেন মঞ্জু নামের এক ক্রেতা। কথা হলো তার সঙ্গে। তিনি বলেন, শীতের তীব্রতা যেভাবে বাড়ছে গরম কাপড় না কিনে উপায় আছে বলেন? আর এই সুযোগটা নিছি দোকানীরা। গত সপ্তাহে যেই কম্বল ১৫০০ টাকায় বিক্রি করছে সেটা এখন তিন হাজার টাকা দাম চাচ্ছে। তবুও কিনতে হচ্ছে কি করবো এখনতো দরকার।
সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের চৌরঙ্গী সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, এখন ভিড়টা গরম কাপড়ের দোকানগুলোতেই। গত দুই তিন দিনে যে পরিমাণ শীতের পোশাক বিক্রি করেছি। গত দুই মাসেও হয়নি।