চলমান শৈত্য প্রবাহে সারাদেশের মতো ফরিদপুরেও তীব্র শীত জেঁকে বসেছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ফরিদপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে শীতের তীব্রতার কারণে থমকে গেছে কর্মজীবী সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কাজ-কর্ম। তবে খেটে খাওয়া মানুষেরা অনেকটাই কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশা থাকায় মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তবে তীব্র শীতে শহরের মানুষের কোনো রকমে দিন কেটে গেলেও বড় বিপদে রয়েছেন পদ্মার পাড়ে যারা বসবাস করছেন। এছাড়া শীতের তীব্রতায় কর্মহীন হয়ে পড়ছে শ্রমজীবী অনেক মানুষ। জেলার শ্রম বিক্রয় হাটে গিয়ে দেখা গেছে অলস বসে আছেন শ্রমিকরা। তাদের হাতে কোনো কাজ নেই।
ফরিদপুর আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক সুরজুল আমিন জানান, গত কয়েক দিনের তাপমাত্রা ফরিদপুর অঞ্চলে বেশ কম। আজ শনিবার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৭ ডিগ্রী। এভাবে চলতে থাকলে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
ফরিদপুর জেলার ত্রাণ কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম জানান, জেলার ৮১টি ইউনিয়ন ও ৬টি পৌরসভা, প্রতিটির জন্য ৪৬০টি করে সরকারি কম্বল এসেছে। আমরা সেগুলো নয়টি উপজেলাতে বিতরণ শুরু করেছি। এছাড়া জরুরি বরাদ্দ হিসাবে আরও ৯ হাজার ১ শ কম্বল পেয়েছি।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, গতরাতেও শহরের রাস্তায় কাটানো হতদরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলার চরাঞ্চলগুলোতে অগ্রাধিকার হিসেবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
তিনি জানান, আমাদের পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র রয়েছে, শীতের কারণে কেউ কষ্টে থাকবে না।