সারা দেশের মতো সাভারের আকাশেও গত চারদিন ধরে নেই সূর্যের দেখা। এতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ফলে জনদুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ। তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন বয়স্করা। এই তালিকা থেকে বাদ পড়েনি শিশুরাও। শীতকালীন রোগের কারণে হাসপাতালগুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
শীতের কারণে সর্দিজ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা, অ্যালার্জি, চোখ ওঠা, ডায়রিয়া, খুশকি, খোসপাঁচড়া বা চর্ম রোগীদের ভিড় হাসপাতালগুলোতে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিনে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শিশু চিকিৎসা নিয়েছে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে। এর মধ্যে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইতোমধ্যে ২ হাজার ১৩৭ জন শিশু চিকিৎসা নিয়েছে শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াজনিত রোগে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া এক শিশুর অভিভাবক জানান, গত তিন দিনের তীব্র শীতে আমরা নিজেরাই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। সর্দি ও কাশিতে আমি নিজেই আক্রান্ত। আমার মেয়েকে সবসময় মোটা গরম কাপড় পরিয়ে রাখার পরেও তার শ্বাসকষ্ট দেখা যায়। তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছি।
অপর আরেক শিশুর অভিভাবক বলেন, হঠাৎ আমার ছেলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। অতিরিক্ত শীতে ডায়রিয়া হয়েছে। তবে সাথে সাথে হাসপাতালে ভর্তি করায় তেমন কোনো সমস্যা হয় নাই।
নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ বলেন, সারা বছরই নিউমোনিয়া রোগী থাকে। তবে শীতে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বেশ কয়েকজন শিশু রোগী এখনো ভর্তি আছে আমাদের হাসপাতালে। এছাড়া প্রতিনিয়ত চিকিৎসা নিতে শিশুদের অভিভাবকরা হাসপাতালে ভিড় করছেন।
এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. সায়েমমুল হুদা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অবশ্যই শিশু ও বয়স্কদের বাড়তি পরিচর্যা করতে হবে। শিশুদের সবসময় গরম কাপড়ে আবৃত রাখতে হবে। খাবার পানি খাওয়ার আগে অবশ্যই ফুটিয়ে নিতে হবে। এছাড়া কাঁচা খেজুরের রস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কাঁচা খেজুরের রসে নিপা ভাইরাস থাকলে মৃত্যু শঙ্কা আছে।