উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে চাঁদপুরের হাইমচরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন পাটোয়ারী ও আনারস প্রতীকের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতালেব জমাদারসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক বরাদ্দের পর উভয় প্রার্থীর সমর্থকরা প্রচারণায় নামেন। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ সময় হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সুজন কান্তি বড়ুয়াও আহত হন।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোতালেব জমাদারকে বিকেলে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নূর হোসেন পাটোয়ারীও আহত হয়েছেন।
আহত অন্যান্যদের স্থানীয় হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে এ ঘটনার হাইমচরের থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সংঘর্ষে আহতরা অন্যান্যরা হলেন—বারেক খান, ছাত্রলীগ নেতা এমরান তালুকদার, মোতালেব জমাদারের ছেলে বাবু জমাদার, ছাত্রলীগ নেতা মিশু ঢালী ও জাকের মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হলে প্রতীক নিয়ে প্রার্থীরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচারে নামেন। দুপুর ১টায় হাইমচরের তেলির মোড়ে বর্তমান চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নূর হোসেনের সমর্থকরা মিছিল বের করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের মোতালেব জমাদারের সমর্থকদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এ সময় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নূর হোসেন ও তার সমর্থক নীল কমল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সরদারসহ ৭/৮জন আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুর আড়াইটায় হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মোতালেব জমাদার গাড়ি নিয়ে উপস্থিত হলে তার ওপর হামলা করা হয়। লাঠি ও ইটপাটকেলের আঘাতে মোতালেব জমাদারের মাথা ফেটে যায়।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে হাইমচরের পরিস্থিত কিছুটা স্বাভাবিক হলেও পরিস্থিতি একটু থমথমে রয়েছে। এ ঘটনায় কেউ মামলা করেননি।