কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্য প্রবাহের প্রভাব এখনো কাটেনি। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৮ থেকে ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কুড়িগ্রামের হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষেরা। টানা শৈত্য প্রবাহের পর গত দুই দিন দিনের বেলা কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও দুপুরের পর থেকেই আবারো ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করে। এতে করে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষজন।
কনকনে ঠাণ্ডায় শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাস কষ্ট, ডায়রিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীরা সংখ্যা।
সরকারিভাবে জেলা প্রশাসন থেকে ৫১ হাজার কম্বল বিতরণ করা হলেও বিপুল সংখ্যক হতদরিদ্র মানুষের জন্য তা অপ্রতুল বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই।
তবে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন জানান, আমরা কুড়িগ্রামের শীতার্ত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি এবং তা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন ও সংস্থা তাদের শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। জেলা প্রশাসন থেকে শীত মোকাবিলার সকল প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান তিনি।