হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক)।
নতুন বছরের ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ শহরের আলী আহমদ চুনকা নগর পাঠাগার এবং শেখ রাসেল পার্কে চলবে এ উৎসব। নাসিক ও নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট যৌথভাবে এ উৎসবের আয়োজন করেছে।
উৎসবের প্রথম দিন (১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় আলী আহম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তনে সংস্কৃতি উৎসবের উদ্বোধন করবেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।
এরপর বিকেল সাড়ে ৪টায় শেখ রাসেল পার্কে নৃত্য নকশা বজ্রকন্ঠ ও মুক্তিযুদ্ধের গান ও গণসংগীত পরিবেশন করবে নারায়ণগঞ্জ জেলা এবং কেন্দ্রীয় উদীচী। এছাড়া সন্ধ্যায় শেখ রাসেল পার্কে মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
দ্বিতীয় দিন (২ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় শেখ রাসেল পার্কে মূকাভিনয়, পথ নাটক মঞ্চস্থ করা হবে। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টায় আলী আহম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তনে প্রাঙ্গণে মোর প্রযোজনায় নাটক হাসানজানের রাজা মঞ্চস্থ করা হবে।
তৃতীয় দিন (৩ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় আলী আহম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তনে আহমেদ ব্রাদার্সের পরিবেশনায় যন্ত্রসংগীত, আবৃতি ও সংগীত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় শেখ রাসেল পার্কে লালনগীতি পরিবেশন করবেন টুনটুন বাউল ও অন্যান্য শিল্পীবৃন্দ।
চতুর্থ দিন (৪ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় আলী আহম্মদ নগর মিলনাতয়নে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটভুক্ত সংগঠনসমূহের পরিবেশনায় সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য ও নাটক মঞ্চস্থ করা হবে। এছাড়া এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় শেখ রাসেল পার্কে ব্যান্ডসংগীত পরিবেশন করবে বাংলা গানের দলসহ জিয়া, শহুরে গায়েন, সমগীত ও গানপোঁকা।
পঞ্চম দিন (৫ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় আলী আহম্মদ নগর মিলনাতয়নে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটভুক্ত সংগঠনসমূহের পরিবেশনায় সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য ও নাটক মঞ্চস্থ করা হবে। এছাড়া এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় শেখ রাসেল পার্কে লোকগান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেশ অপেরার প্রয়োজনে যাত্রাপালা আনারকলি মঞ্চস্থ করা হবে।
ষষ্ঠ দিন (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় শেখ রাসেল পার্কে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে।
সপ্তম ও শেষদিন (৭ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় আলী আহম্মদ চুনকা মিলনায়তনে থাকছে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের নিয়ে অনুষ্ঠান।
এছাড়াও উৎসব চলাকালীন সময়ে প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আলী আহম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তনে আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শেখ রাসেল পার্কে শতফুট ক্যানভাসে শত শিল্পীর আঁকা চিত্রকলা প্রদর্শনী ও সিনেস্কোপে মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।