মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আর হিমেল হাওয়ায় চুয়াডাঙ্গার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যান্য দিনের চেয়ে তাপমাত্রা বাড়লেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন এবং কুয়াশার চাদরে ঢাকা রয়েছে গোটা শহর। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও সূর্যের দেখা মেলেনি।
শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ ও শ্রমজীবীরা। তীব্র শীতে দিনমজুরেরা ফসলের মাঠে কাজে যেতে পারেননি। শহরে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হননি।
এদিকে বেড়েছে শীতজনিত রোগবালাই। অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এদের বেশির ভাগ শিশু ও বৃদ্ধ।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে দুই হাজারের বেশি রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে শিশুই বেশি। তবে এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।