চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালকের ভুলের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি না দিয়ে চলে যায়। পরে চালকের সাথে যোগাযোগ করে আবারো ফিরিয়ে আনা হয় ট্রেনটি। এতে ট্রেনের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে রেলওয়ে স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। প্রায় ১৫ মিনিট পড়ে আবারো ট্রেনটি উল্টো ফিরে এসে স্টেশনে থাকা যাত্রীদের নিয়ে সন্ধ্যা ৫টা ৫৪ মিনিটে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. নূরুন নবী ভূইয়া জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে যাত্রবিরতি দিয়ে ছেড়ে আসে। আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেওয়ার কথা থাকলেও সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি দ্রুত গতিতে স্টেশন এলাকা অতিক্রম করে ব্রিজের উপরে চলে যায়। পরে তাৎক্ষনিকভাবে ট্রেনের চালকের সাথে যোগাযোগ করে ট্রেনটি উল্টো ফিরিয়ে আনা হয়। পরে ঢাকার যাত্রীরা ট্রেনে উঠার পর ৫টা ৫৪ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন ত্যাগ করে ট্রেনটি।
তিনি আরো জানান, এখানে যেসব ট্রেনের যাত্রা বিরতি আছে সেসবের চালককে আগে থেকেই বলে রাখা হয়। আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনটিতে সিগনালিং ব্যবস্থা না থাকার কারণে ট্রেনের চালকের (লোকোমাস্টার) ভুলে প্রতিনিয়ত এমনভাবে ট্রেন চলে যায়। এতে করে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনটি বি-গ্রেডে থাকলেও এর সুফল পাচ্ছে না এই স্টেশন থেকে চলাচলকারী যাত্রীরা। সিগনালিং ব্যবস্থা না থাকার কারণে ভৈরব ও তালশহর স্টেশনের মাধ্যমে এখানকার ট্রেনের যোগাযোগ রক্ষা করা হয়। এ অবস্থায় প্রায়ই এখানে ভুল করে থাকেন চালকরা।
এদিকে স্টেশনটিতে জনবল সংকট, শৌচাগার ব্যবস্থা, সিগনালিং ব্যবস্থাসহ বি-গ্রেডের সকল সুবিধার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে জাগ্রত আশুগঞ্জবাসী নামে একটি সামাজিক সংগঠন। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৪ জানুয়ারি স্টেশনের প্লাটফর্মে অবস্থান ধর্মঘট পালনের কর্মসূচী দেয়া হয়েছে।