ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় অবৈধ ড্রেজার চালানোর অভিযোগে আটক যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়ি বহরে হামলা করা হয়েছে। এতে পুলিশের এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের বিলঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতরা হলেন, কসবা থানার এসআই মো. হারুনুর রশিদ, পুলিশ সদস্য আলী আজম, মাহবুবুল, জয়রুপ। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এর আগে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. আলমগীরকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য আলমগীরকে এক বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদউল আলম বার্তা২৪.কম-কে জানান, ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনায় পাঁচ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কসবার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালানো হয়। এ সময় অবৈধভাবে ড্রেজার পরিচালনার কারণে কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের বাসিন্দা আলমগীরসহ দুই জনকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত আলমগীরকে এক বছরের সাজা ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এ সময় তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসতে থাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল। তারা বিলঘর এলাকার পৌঁছালে আলমগীরের লোকজন তাকে ছিনিয়ে নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপর হামলা করে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লোকমান হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোট ১২ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। হামলার ঘটনায় পুলিশের একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরকে গ্রেপ্তারেরও চেষ্টা চলছে। আলমগীর পুলিশের হেফাজতে আছে।