সরিষা ক্ষেতে মৌচাষের ফলে একদিকে ফলন বাড়ছে এবং মধু সংগ্রহের ফলে পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবাইলে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে থাকা সরিষা ক্ষেতে স্থাপিত মধু মামুনের মৌ-খামার পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার উপপরিচালক কৃষিবিদ শ্যামল কুমার বিশ্বাস।
অল্প খরচে এবং স্বল্প সময়ে বেশি উৎপাদন এবং লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে সরিষা চাষে দিন দিন আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরিষা জনপ্রিয় করতে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
মৌমাছি পরাগায়নে সহায়তা করছে বলেই ফলে সরিষা আগের তুলনায় ফলন আরও ২০ শতাংশ বাড়বে। চলতি অর্থ বছরে এই মিরপুর উপজেলার একটি মাঠ থেকেই ২ টনের উপরে মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মৌ-খামারের মধু মামুন বলেন, নিজে কিছু করার চেষ্টা এবং অন্য মানুষদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতেই আমার এ পথচলা। আমার খামারে উৎপাদিত মধু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর পাশাপাশি বিদেশেও রফতানি করা হয়ে থাকে।
তিনি জানান, কুষ্টিয়ার মিরপুর ও নাটোরের ও চলনবিল সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ চলছে। মাত্র দুই সপ্তাহেই তিনটি খামার মিলে সপ্তাহে ২৫০ কেজি মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বছর ১৪০টি বাক্সের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করছি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি ১২ টন মধু।
মিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ২০১৮ সালে সরিষার আবাদ হয়েছিলো ৮২০ হেক্টর জমিতে। বর্তমানে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করায় তা বেড়ে ১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।
পরে কৃষি কর্মকর্তারা পৌরসভা ব্লকের বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত বিনা সরিষা-১০ জাতের সরিষা প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন এবং কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এ সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, কুষ্টিয়ার প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার প্রামাণিক, মিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ, উপজেলা কৃষি অফিসার উপস্থিত ছিলেন।