নারায়ণগঞ্জে হোসিয়ারি ব্যবসায়ীকে হেরোইন দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে সদর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) এনায়েত করিমকে প্রত্যাহার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের নির্দেশে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
এদিন দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা (ডিআইও-২) শাফিউল আজম খান।
গত রোববার সকালে এএসআই এনায়েত করিমের বিরুদ্ধে সদর থানাধীন সৈয়দপুর এলাকার বাসিন্দা হোসিয়ারি ব্যবসায়ী জিকুকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
স্বজনদের দাবি, এএসআই এনায়েতের দাবিকৃত ২ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় জিকুকে হেরোইন দিয়ে মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। চাঁদার জন্য গত ১২ ডিসেম্বর জিকু ও তার কর্মচারী শামীমকে তুলে নিয়ে যান এএসআই এনায়েত করিমসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ। তাদের ছাড়িয়ে নিতে ২ লাখ টাকা দাবি করলে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। ৩০ হাজার টাকা নিয়েও এএসআই এনায়েত ব্যবসায়ী জিকু ও শামীমকে ১০ গ্রাম হেরোইন দিয়ে আদালতে চালান দেন বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।
তবে অভিযোগের বিষয়ে মুখ খোলেননি অভিযুক্ত এএসআই এনায়েত করিম। মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসামির পরিবার এসপি বরাবর অভিযোগ করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া আমি কিছু বলতে পারব না। আপনারা যা খুশি লিখতে পারেন।