গাইবান্ধা-৩ আসনে বইছে নির্বাচনী আমেজ

গাইবান্ধা, দেশের খবর

তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা | 2023-09-01 21:13:53

গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকারের মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করেছে সংসদ সচিবালয়। সংবিধান অনুযায়ী কোনও সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করা হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাকতা রয়েছে।

সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১টি ও পলাশবাড়ী উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গাইবান্ধা-৩ আসন। ইতোমধ্যে এ আসনে বইছে নির্বাচনী আমেজ। সরকার ও বড় রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন পেতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। হেভিওয়েট প্রার্থীদের পাশাপাশি তরুণ প্রার্থীরাও আলোচনায় রয়েছেন।

প্রার্থীদের নিয়ে ভোটারদের মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কেউ কেউ চায়ের ফরমাশ দিয়ে আড্ডা জমিয়ে তুলেছেন। শেষ পর্যন্ত কে জয়ী হবেন তাই নিয়ে চলছে আড্ডা। প্রতিটি নির্বাচনের মতোই এবারও ভোটাররা পাওয়া না পাওয়ার হিসাব কষছেন।

ঐতিহ্যগত ধারার চেয়ে নির্বাচনের প্রচারণায় এগিয়ে আছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম৷ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ওয়েবসাইটসহ আরো অনেক নতুন নতুন কৌশল৷

সদ্য প্রয়াত ডা. ইউনুস আলী সরকারের ছেলে ডা. ফয়সাল ইউনুস ও পিয়াস ইউনুস তাদের যে কোনো একজন প্রার্থী হতে পারেন বলে জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

সাদুল্লাপুর উপজেলার বাসিন্দা মোজাহার আলী বলেন, প্রতীক নয়, প্রার্থী দেখে ভোট দেব। আমাদের সুখ-দুঃখে যে পাশে থাকবে তাকেই ভোট দিবো।

পলাশবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা মজনু মিয়া বলেন, যে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়ে বেকারত্ব দূরীকরণে কাজ করবে এমন প্রার্থীকেই ভোট দিবো।

গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন অফিসার মাহাবুবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই আসনটির উপ-নির্বাচন বিষয়ে এ পর্যন্ত কোনো চিঠিপত্র আসেনি। তবে নিয়ম অনুযায়ী সঠিক সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ডা. ইউনুস ২৭ ডিসেম্বর মারা যান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই আসন থেকে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

১৯৫৩ সালের ১৫ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার ভাটগ্রাম এলাকায়। পেশায় চিকিৎসক ইউনুস আলী সরকার সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদেও ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর