থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিনে পর্যটকের ঢল নেমেছে। নতুন বছরকে বরণ করতে প্রবাল দ্বীপ যেন পর্যটকের মেলায় পরিণত হয়েছে।
এ আয়োজনকে ঘিরে পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক প্রস্তুতিও রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরে দেশি-বিদেশি পর্যটক আসছেন। এদিকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে চলাচলকারী ৮টি পর্যটকবাহী জাহাজের টিকেট অগ্রিম বুকিং রয়েছে।
সেন্ট মার্টিন হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান জানান, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। হোটেল-মোটেল, কটেজ শতাধিক আবাসিক হোটেলের সব কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।
সেন্ট মার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমেদ বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বর্ষ বিদায়ে বিশেষ কোন আয়োজন নেই। তবে গত বছরের তুলনায় এবার দ্বীপে পর্যটকের আগমন বেড়েছে। পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে নজরদারি রাখা হচ্ছে।
সেন্ট মার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফজলু আলম জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সেন্ট মার্টিনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। তবে ঐদিন সন্ধ্যার পর থেকে সব ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে জানান, দ্বীপে পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। সেন্ট মার্টিনগামী পযর্টক জাহাজগুলো যেন অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে, সেদিকে কঠোর নজর রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যটকদের দ্বীপ ভ্রমণে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।