১৩ বছর বয়সী জনি আহমেদ। বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার কাতলামারী গ্রামে। বাবা জয়নাল আহমেদ। পেশায় একজন দিনমজুর। কখনো ইটভাটার শ্রমিক, আবার কখনো কৃষক।
জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী জনি আহমেদ। নওদা আজমপুর জনসেবা প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সে। আগামী বছর সমাপনী পরীক্ষায়ও অংশ নেবে। হুইল চেয়ার না থাকায় বাঁশের লাঠিতে ভর দিয়েই চলাফেরা করতে হয় জনিকে। দুই পায়ের হাঁটুতে পুরোপুরি ভর দিয়ে চলতে অক্ষম।
বাবা জয়নাল আহমেদ বলেন, 'জনির পড়াশোনা করার খুব আগ্রহ। এই অদম্য ইচ্ছা তাকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। কয়েক বছর হলো বিদ্যালয়ের ভ্যানে করে তাকে স্কুলে আনা নেওয়া করা হয়। আমার হুইলচেয়ার কিনে দেওয়ার সামর্থ্য নেই। একটা হুইলচেয়ার হলে খুব ভালো হয়।'
জনির আগ্রহ সে পড়াশোনা করে শিক্ষিত হয়ে মানুষের মতো মানুষ হবে।
জনসেবা প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেরেবুল ইসলাম বলেন, জনি ছাত্র হিসেবে মোটামুটি ভালো। আমার বিদ্যালয় থেকে ১০ কিলোমিটার দুরে জনির বাড়ি। তারপরেও সে নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসে। যেখানে জনির মতো আরও অনেক শিক্ষার্থী আছে, যাদের আমরা বিদ্যালয়ে আনতে পারি না। তাই এসব প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারের বিশেষ হস্তক্ষেপ দরকার। তাহলেই তারা এই প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ভালো কিছু করতে পারবে।