ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সামনে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট ও পিঠা উৎসবের নামে উচ্চস্বরে গান পরিবেশ ও আতশবাজির মাধ্যমে থার্টি ফার্স্ট নাইটের আয়োজন করেছেন। এ আয়োজনের কারণে হাসপাতালের রোগীদের মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যেখানে হাসপাতালের সামনে যেকোনো সময় মাইকিং নিষিদ্ধ সেখানে হাসপাতালে চিকিৎসকদের এমন উদ্ভটকাণ্ডে হতবাক শহরের সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের জন্য ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের আয়োজন করে হেলথ কেয়ার নামে একটি প্রতিষ্ঠান। হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে আয়োজিত পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় কয়েকজন কণ্ঠ শিল্পীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনের পর পর শুরু হয় সাউন্ড সিস্টেম দিয়ে গান পরিবেশন। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মো. শাহ আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন, বিএমএর সভাপতি ডা. আবু সাঈদ, হাসপাতালের আরএমও ডা. রানা নূর সামসসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে রাত সাড়ে ১০টায় আতশবাজির মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীরদের অনেকে ডাক্তারদের এমন কাজের তীব্র সমালোচনা করেছেন। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে কোনো ডাক্তার ছিলো না জরুরি বিভাগে। এতে রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম জানান, নতুন কয়েকজন চিকিৎসক হাসপাতালে যোগদান করেছেন। তাদের জন্য হেলথ কেয়ার নামে একটি প্রতিষ্ঠান ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে। এর উদ্বোধন উপলক্ষে পিঠা উৎসব ও গানের আয়োজন করেছেন তারা। রোগীদের কথা মাথায় রেখে দ্রুত আয়োজন শেষ করা হয়েছে। নতুন বছরের কারণেই এমন হয়েছে। তবে চিকিৎসকরাও মানুষ। তাদের বিনোদনের কথা মাথায় রেখে এই অনুষ্ঠান করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত বলেন, যে কারও মাধ্যমেই রোগীদের ক্ষতি হোক এটি কাম্য নয়। আর চিকিৎসকরা যেহেতু গান শুনেছেন মনে হয় তারা রোগীদের কথা মাথায় রেখেই শুনেছেন। সকলেরই হাসপাতালের রোগীদের কথা মাথায় রাখা উচিৎ। পাশাপাশি চিকিৎসকদের বিনোদনও দরকার।