রংপুরের পীরগাছা উপজেলা ডাকঘরের কার্যক্রম চলছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই। ১৯৮০ সালে নির্মিত ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রায়ই খসে পড়ছে ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা। বেরিয়ে গেছে রড। ফলে মৃত্যুর ঝুঁকি মাথায় নিয়ে কাজ করছেন ডাকঘরের সাত কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সরেজমিনে পীরগাছা ডাকঘর ভবন ঘুরে দেখা গেছে, ১৯৮০ সালে নির্মাণ করা পাঁচকক্ষ বিশিষ্ট এ পাকা ভবনটি একেবারেই জরাজীর্ণ ও নাজুক। ২০০১ সালে ভবনটি একবার সংস্কার করা হলেও ২০০৮ সাল থেকে ছাদসহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে ভবনের রডগুলো বের হয়ে তাতে মরিচা ধরেছে। বিভিন্ন স্থানের পলেস্তারা খসে পড়েছে। প্রতিদিনই এ ডাকঘরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গ্রাহকদের দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকতে হয়।
ডাকঘরে আসা গ্রাহক ঈসমাইল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'এ ডাকঘর যেন এক মৃত্যুর ফাঁদ। তাই জলদি কাজ সেরে চলে যেতে হয়।'
ডাকঘরটিতে কর্মরত রানার আলী আকবার বলেন, 'মাথার উপর জরাজীর্ণ ভবন। কখন পলেস্তারা খসে পড়ে এ আতঙ্ক নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।'
পীরগাছা ডাকঘরের পোস্টমাস্টার হালিম বাদশা বলেন, 'সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
রংপুরের ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল প্রদীপ কুমার বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'পীরগাছা ডাকঘর ভবনের অবস্থা ভালো না। তাই আমাদের অগ্রাধিকার তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে এটি। দ্রুতই ভবন নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হবে।'