কক্সবাজারের টেকনাফ স্থল বন্দরে গত ডিসেম্বর মাসে প্রায় ২১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। পেঁয়াজের আমদানি কমে আসায় রাজস্ব আদায় বেড়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে টেকনাফ স্থল বন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ডিসেম্বর মাসে ৫১৬টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ২০ কোটি ৯৭ লাখ ৯৯ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। যেখানে উক্ত মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক মাসিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৩ কোটি ৫৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা। যা মাসিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ কোটি ৪২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বেশি। মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি হয়েছে ১১৫ কোটি ১০ লাখ ৭৭ হাজার টাকার। মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয় ১৪ হাজার ৬৪৭ মেট্রিক টন। তবে পেঁয়াজ আমদানিতে নেই কোনো রাজস্ব। এছাড়া শাহপরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে ২৯৪৫টি গরু, ১৪৪২টি মহিষ ও ৯টি ছাগল আমদানি করে ২১ লাখ ৯৫ হাজার ৩শ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। অপরদিকে ৫৮টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ২ কোটি ৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকার পণ্য মিয়ানমারে রফতানি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত মাসে পেঁয়াজ আমদানি কমে আসায় অন্যান্য পণ্য আসা শুরু হয়েছে। যার ফলে মাসিক রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ীদের আমদানি ও রফতানি বাড়াতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
এদিকে সীমান্ত বাণিজ্যে পণ্য আমদানির তুলনায় রফতানি হয়েছে খুবই নগণ্য। মিয়ানমারে পণ্য রফতানি বৃদ্ধি করতে সে দেশে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সৃষ্টি করতে হবে। এই বিষয়ে সরকারের জরুরী পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, এই বন্দরে ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে পণ্য আমদানি বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসায়ীদের এখনো নানা সমস্যা পোহাতে হয়। এসব সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিলে ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে। এই বাণিজ্য ব্যবসাকে আরও গতিশীল করতে দুদেশের সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন রয়েছে।