লাল, নীল, বেগুনী, সাদা, হলুদসহ বাহারি রঙের ফুলে সুশোভিত স্কুলছাত্র তমনের বাগান। পড়াশুনার পাশাপাশি ১৭ শতক জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ করে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরেছে তমনের পরিবারে।
যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে তমন হোসেন। সে ছাতিয়ানতলা চুড়ামনকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। এই এলাকায় আগে কখনও ফুলের চাষ হয়নি। প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে দেশি-বিদেশি ফুল চাষ শুরু করে তমন। ফুল চাষের পাশাপাশি ফুলের চারাও উৎপাদন করছে সে। এতে আর্থিক সচ্ছলতাও ফিরেছে তার পরিবারে।
তমন হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, বাবার কাছ থেকেই ফুল চাষ ও চারা উৎপাদনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে সে। প্রথমে শখের বশে হলেও এখন সে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ শুরু করেছে। ফুলের চাষ ও বাগান পরিচর্যায় বাবাও তাকে সাহায্য করে।
ফুল চাষে আগ্রহের কারণ জানতে চাইলে তমন জানান, গত বছর ক্লাসের বন্ধুদের সঙ্গে যশোরের গদখালি ফুলের গ্রামে ঘুরতে যায়। সেখানে বাহারি ফুলের চাষ দেখে সে ফুল চাষে উদ্বুদ্ধ হয়। পরে ১৭ শতক জমি বর্গা নিয়ে সেও ফুলের চাষ শুরু করে। চাষ করা ফুলের মধ্যে রয়েছে জারবেরা, স্নোবল, চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া ইনকা, গোলাপ, রজনীগন্ধা প্রভৃতি। এই পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে অর্ধলক্ষধিক টাকা। এখন পর্যন্ত সে ৬০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেছে। এখন তার বাগান ফুলে ফুলে ভরে উঠছে। আসন্ন বিভিন্ন উৎসব ও দিবসে দুই লক্ষধিক টাকার ফুল বিক্রি করবে বলে আশাবাদী তমন।
তমনের পিতা জামাল হোসেন জানান, তমনের বাগানের ফুল ও চারাগাছ ঢাকা, খুলনা, সিলেট, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা নিয়ে যাচ্ছে। এতে পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতাও এসেছে। চলতি মৌসুমে আরও বেশি জমিতে ফুল চাষ করার পরিকল্পনা আছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার বার্তা২৪.কমকে জানান, যশোর জেলা ফুলের জন্য বিখ্যাত। যশোরের আট উপজেলায় ১৫ শ’হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয়। তমনের ফুল চাষ দেখে অনেকে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। পাশাপাশি আমরা নতুন ফুল চাষিদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছি।