গত এক বছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদকের মামলা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪১৮টি। এসব মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ২ হাজার ৬৩ জন মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য।
পুলিশ, র্যাব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, বিজিবি এ সংক্রান্ত অভিযান চালিয়েছে। সবচেয়ে বেশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
বিদায়ী বছরে জেলার অনেক শীর্ষ ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এরই মধ্যে মাদক মামলায় গ্রেফতার আসামিদের অনেকেই জামিন পেয়েছে। জামিন পাওয়ার পর অনেকেই আবারো মাদক ব্যবসায় নিয়োজিত হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মাদকের ১৪১৮টি মামলা হয়েছে। পুলিশ ১ হাজর ৬৮, র্যাব ১০৪, বিজিবি ১৩৮ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ১০৮টি মামলা করেছে। এসব মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ২ হাজার ৬৩ মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীকে।
সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২৪ কেজি ৯২২ গ্রাম ৯৪ পুরিয়া হোরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে ২২৭ কেজি ৯১১ গ্রাম। এছাড়াও ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ১৪৫৯টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে ৪৪ বোতল ১৫ লিটার। একই সময়ে ৬৫ হাজার ৫২১ বোতল ফেনসিডিল, ৪ হাজার ৬৩৯ লিটার দেশীয় মদ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত এক বছরের মাদকবিরোধী অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান জানান, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অবস্থান সব সময়ই জিরো টলারেন্স। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে রক্ষা করতে জেলা পুলিশ অঙ্গীকারবদ্ধ। গেল বছর র্যাবসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অন্যান্য ইউনিটগুলোও মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। সম্মিলিত অভিযানের কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় বিদায়ী বছরে মাদকের মামলা যেমন বেশি ছিল, তেমনি গ্রেফতারও ছিল বেশি। জোরালো অভিযানের কারণে মাদক ব্যবসায়ীদের তৎপরতা আস্তে আস্তে কমে এসেছে। মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।