আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলতি মৌসুমে লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এ জেলায় আম ছাড়াও অন্যান্য ফসলের মধ্যে অন্যতম হলুদ। তবে এ হলুদ চাষ আম বাগানেই বেশি চাষ হয়। আম বাগানের ভেতরে হলুদ চাষকে বোনাস ফসল হিসেবেই নিয়েছেন এখানকার কৃষকরা।
প্রতিবছর এই হলুদ চাষ হলেও এবার আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণ। জেলা কৃষিবিভাগ জানিয়েছে, কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় হলুদের আবাদ দিন দিন বাড়ছে।
বিনোদপুর এলাকার হলুদ চাষি সাইফুল ইসলাম জানান, হলুদ একটি বোনাস ফসল হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেছে। এখানে ছোট বড় আম বাগানে হলুদ ছাড়া তেমন কোন ফসল উৎপাদন হয় না। যারা বাড়তি আয় করতে চান তারাই এখন আম বাগানে হলুদের চাষ করছেন।
তিনি জানান, গত বছরে তিন বিঘা জমিতে হলুদ চাষ করেছিলে। তাতে সর্ব মোট ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখান হতে বিঘা প্রতি প্রায় ৬৫-৭০ মণ হলুদ উৎপাদন হয়। যা বিক্রি করা হয় প্রায় ১ হাজার টাকা মণ প্রতি।
শ্যামপুর গ্রামের হলুদ চাষি এন্তাজ আলী জানান, হলুদ চাষে অন্য ফসলের মতো শ্রম দিতে হয় না। অল্প খরচে বেশি আয় হওয়ায় তিনি এবার আড়াই বিঘা জমিতে হলুদ চাষ করেছেন। হলুদ মাঠ থেকে উঠার আগেই প্রাণসহ বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা জমিতে এসেই কাঁচা ও শুকনা হলুদ সংগ্রহ করে থাকেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অধিদফতরের উপপরিচালক মঞ্জুরুল হুদা জানান, সাথি ফসল হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে হলুদের চাষ দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে আম বাগানে হলুদের চাষ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছেন। তিনি জানান, জেলায় হলুদ চাষ বাড়ানোর জন্য কৃষি বিভাগ উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় প্রায় ৬০০ হেক্টোর জমিতে হলুদের চাষ হয়েছে।