মানিকগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী লিটন খানের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন জেলা-দায়রা জজ ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন। দণ্ডপ্রাপ্ত লিটন খান মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার হিজুলিয়া গ্রামের ছবির উদ্দিনের ছেলে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি একেএম নূরুল হুদা রুবেল জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লিটন খানের সাথে মামলার বাদি সাহেব আলীর মেয়ে চায়না আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে যৌতুকের জন্য চায়নাকে চাপ প্রয়োগ করা হয়। যৌতুকের টাকার অজুহাতে মাঝে মধ্যেই স্ত্রীকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিত স্বামী লিটন। কিছুদিন বিদেশ যাওয়ার জন্য দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে লিটন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্ত্রী চায়নাকে শারীরিক ও মানুষিক ভাবে নির্যাতন শুরু করেন লিটনসহ তার পরিবারের লোকজন। এই ঘটনার জেরে ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে স্ত্রী চায়না আক্তারকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে লিটন। পরে নিহত চায়নার বাবা সাহেব আলী বাদি হয়ে মো.লিটন খান, তার বাবা ছবির উদ্দিন ও মা রিজিয়া খাতুনকে আসামি করে ঘিওর থানায় মামলা করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ১২জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামী লিটন খানকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন এবং মামলার অপর দুই আসামি ছবির উদ্দিন ও রিজিয়া খাতুন দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।