দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ১৭ শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে সুনামগঞ্জের সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে। শিক্ষক সঙ্কটে বিদ্যালয়টিতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। পদ শূন্য থাকায়, অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হয় বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকদের। এ কারণে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল পাচ্ছে না।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদ আছে ৫২টি। কিন্তু শিক্ষক আছেন মাত্র ৩৫ জন। বছর ঘুরে ১৭ শিক্ষকের পদ খালি থাকে সব সময়। অথচ এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আছেন প্রায় দেড় হাজার।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, একেক শ্রেণীর প্রতিটি পাঠ্যবইয়ের জন্য ১ জন করে শিক্ষক নির্ধারণ করা আছে। কিন্তু পদ খালি থাকা ১৭ শিক্ষকের পাঠদানের কার্যক্রমও ভাগাভাগি করে নিতে হয় ৩৫ জন শিক্ষককে।
জানা যায়, সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় ১৮৮৭ সালে স্থাপিত হয়। জাতীয়করণ হয় ১৯২৮ সালে। কিন্তু এই বিদ্যালয়ে ছাত্র মিলনায়তন নেই। শ্রেণীকক্ষে আয়োজন করতে হয় সেমিনার বা অন্যান্য সভা। গভীর নলকূপ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদ পানি সঙ্কটে ভুগছে শিক্ষার্থীরা। আলাদা কোনো ওয়াশ ব্লক নেই। ভবনের ভেতরে থাকা বাথরুম ব্যবহারেও নানা সমস্যায় পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের।
বিদ্যালয়ের ৮ম ও ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কট থাকায় আমাদের পাঠদানে নানা সমস্যা হচ্ছে। স্যারদের ওপর অতিরিক্ত পাঠদানের চাপ রয়েছে। আমাদের বিদ্যালয়ে মিলনায়তন না থাকায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাস করা যায় না। তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়ে অনেক কিছু মৌখিকভাবে জানতে হয়। প্র্যাকটিক্যাল করা যায় না। বিদ্যালয়ে নিরাপদ পানির সংকট রয়েছে।
সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফয়েজুর রহমান বলেন, আমি ২০১৮ সালের ৩০ জুন যোগদান করি। আমার যোগদানের পর শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এ বছর পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফল করেছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কট প্রায় ১০ বছর ধরে। শিক্ষার অগ্রগতিতে এবং ভাল ফলাফলের জন্য শিক্ষক সঙ্কট নিরসন জরুরি প্রয়োজন।