নেত্রকোনায় এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর শ্বশুর ও শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ভোরে জেলার বারহাট্টা উপজেলা সিংধা ইউনিয়নের চরসিংধা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ তমালিকা আক্তার (১৯) চরসিংধা গ্রামের রাসেল মিয়ার স্ত্রী। তমালিকা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিংধা ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের রইছ মিয়ার মেয়ে তমালিকা আক্তারের সঙ্গে এক বছর আগে একই এলাকার চরসিংধা গ্রামের রাসেল মিয়ার (৩০) বিয়ে হয়। রাসেল ময়মনসিংহের ভালুকার মাস্টারবাড়ি এলাকায় একটি সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। এর আগেও সে গাজীপুরে এক নারীকে বিয়ে করেছিল। ওই নারীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সে তমালিকাকে বিয়ে করে।
তমালিকার বাবা রইছ মিয়া জানান, তমালিকাকে বিয়ের কিছুদিন পর আগের স্ত্রীর সঙ্গেও তার সম্পর্কের উন্নতি হয়। এ নিয়ে তমালিকার সঙ্গে রাসেলের বিরোধ চলে আসছিল। তমালিকাকে সে প্রায়ই নির্যাতন করত।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দিনগত রাতে চিৎকার ও কান্নাকাটি শুনে রাসেলের বাড়িতে গিয়ে স্থানীয়রা ঘরের বারান্দায় তমালিকার গলা কাটা মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে ভোর পাঁচটার দিকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত তমালিকার পিতা রইছ মিয়ার অভিযোগ, রাসেল এবং তার পরিবারের লোকজন মিলে তমালিকাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শাহজাহান মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
স্থানীয় বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে স্বামী রাসেল জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে রাসেলের বাবা আব্দুল হাসিম এবং মা মাজেদা বেগমকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি