মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় মা-ছেলে খুনের ঘটনার হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। পরকীয়ার জেরে শিশু সন্তানসহ গৃহবধূ পারভীনকে খুন করেছে তারই দেবর। পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর দেবর সোলাইমান হোসেন (২৮) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে জানানো হয়, গত ৫ থেকে ৬ বছর ধরে দেবর সোলাইমানের সঙ্গে ভাবী পারভীনের পরকীয়া চলছিল। তিন মাস আগে সোলাইমান মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে আসেন। এরপর থেকেই ভাবী তাকে বিয়ের জন্য চাপাচাপি করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: সাটুরিয়ায় মা-ছেলে খুন
বুধবার ভাবী সোলাইমানকে বিয়ের কথা বললে ধারালো চাকু নিয়ে প্রথমে ভাবিকে খুন করে। ভাবির সন্তান ঘুম থেকে জেগে গেলে তাকেও হত্যা করা হয়।
ভাবি ও ভাতিজাকে হত্যার পর সোলাইমান ছুরি ও নিজের রক্তমাখা পোশাক ধুয়ে রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
জোড়া খুনের মামলার বাদী সাটুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম জানান, সোলাইমানকে আজ দুপুরে আটক করা হয়। পুলিশের কাছে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। পরে আদালতে তোলা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠান।