মধ্যস্বত্বভোগীর সঙ্গে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পর্ক স্থাপন থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেছেন, ‘কৃষকের ধান ক্রয়ে কোনো দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। কৃষক যাতে ধানের ন্যায্য মূল্য পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো মধ্যস্বত্বভোগী যাতে সুযোগ নিতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর থাকতে হবে।’
শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন কার্যালয় মিলনায়তনে আমন ধান সংগ্রহের বিষয়ে খাদ্য ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের পর্যাপ্ত বেতন বৃদ্ধি করেছেন। সুতারং অর্থের জন্য অন্য কোনো জায়গায় হাত পাততে হবে না। তাই আপনারা দুর্নীতি মুক্ত হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করবেন।’
খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগে বিদেশ থেকে চাল না আসলে আমাদের খাদ্যের ঘাটতি পূরণ হতো না। এখন আমরা খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। এখন দেশে উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। এখন আমরা সেগুলো বিদেশে রফতানির চেষ্টা করছি। কৃষক যাতে ধানের মূল্য পায় সেজন্য অন্যান্য যেকোনো সময়ের চেয়ে চড়া মূল্য দিয়ে ধান কেনা হচ্ছে।’
মাঠ পর্যায়ে লটারির মাধ্যমে কৃষকের নিকট থেকে ধান ক্রয়ের বিড়ম্বনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালিকা তৈরি করার কথা ছিল। কিন্তু সেটি না করে ১০ টাকার ব্যাংক হিসাব অনুযায়ী তালিকা করা হয়েছে। ফলে যে সকল কৃষক ধান উৎপাদন করেনি তাদের সেই কার্ডটি মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। এতে এসব মধ্যস্বত্বভোগী লাভবান হচ্ছে এবং বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত কৃষক।’
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসি এমপি, জেলা প্রশাসক এজেড এম নুরুল হক, পুলিশ সুপার রকিব উদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিনসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
এরপর তিনি জেলা খাদ্য গুদাম পরিদর্শন ও পৌর এলাকার হারিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছরপূর্তী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। বিকেলে তিনি জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় একটি ঘৌড়দোড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সফরসূচি শেষ করবেন।