আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরই যাচ্ছে সারাদেশে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমের রাজধানী নামে খ্যাত হলেও এবার এই জেলার উৎপাদিত বরই যাচ্ছে সারা দেশে। আমের মতোই সুমিষ্ট বিভিন্ন জাতের বরই উৎপাদন হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
বিশেষ করে বল সুন্দরী, থাই, বেবী সুন্দরী, সুন্দরী, কাশ্মীরি খাচ্চড় ও নারী কেলি বরই বেশি উৎপাদন হয়েছে এখানে। এখানকার উৎপাদিত বরই ঢাকা, চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, যশোরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যাচ্ছে।
শীত মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বিভিন্ন জাতের বরইয়ের দেখা মেলে। কৃষকরা জানিয়েছে, বরই চাষে যেমন খরচ বেশি হয়, তেমনই লাভও হয়। যার কারণে অনেকেই বরই চাষে ঝুঁকছে। দাদন চক এলাকার একরামুল হক জানান, তিনি ভারত হতে কাশ্মীরি বরইয়ের বীজ সংগ্রহ করে চলতি মৌসুমে তিন বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। এতে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তার লাগানো গাছে বাম্পার বরই ধরেছে। তিনি নিজেই কক্সবাজার ও চট্রগ্রামে বরই চালান করছেন। তার মতোই এবার অনেকে বরইয়ের বাগান করেছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা, বিনোদপুর, দাইপুখুরিয়া ও দুর্লভপুর এলাকায় এবার বরই ব্যাপক চাষ হয়েছে। জেলায় নির্দিষ্ট কোনো বরইয়ের বাজার নেই। তার পরেও দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর বাজারে বসছে এখন নিয়মিত বরইয়ের হাট। সেখানে কৃষকরা মাঠ হতে বরই সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন। প্রতি ক্যারেট ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে। ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় প্রতিদিন সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত মুখরিত হয়ে থাকছে বাজারটি। সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, সেখানে দিনে প্রায় কোটি টাকার বরই বেচা কেনা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ জেলার বরই ক্রেতা আল মামুন জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিভিন্ন জাতের বরই পাওয়া যায়। যা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। সে জন্যই তিনি প্রায় তিন বছর যাবৎ এখান হতে বরই সংগ্রহ করে নিজ জেলায় বিক্রি করেন। এতে তারও ভালোই লাভ হয়।
জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মঞ্জুরুল হোদা বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় টক মিষ্টিসহ বিভিন্ন জাতের বরই চাষ হচ্ছে। যা দেশের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ হচ্ছে।
তিনি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় প্রায় ৬শ হেক্টর জমিতে ১০ জাতের বরই চাষ হচ্ছে।