কুমিল্লার চান্দিনায় মো.নাছির উদ্দিন (২৬) নামে এক নৈশ প্রহরীর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের নাওতলা এলাকা থেকে নৈশ প্রহরীর মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নাছির উপজেলার নাওতলা গ্রামের রবি উল্লার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত নাছির দীর্ঘ ৩ বছর ধরে নাওতলা সিনিয়র আলিম মাদরাসা পার্শ্ববর্তী মহাসড়কের দক্ষিণ পাশের বাচ্চু চেয়ারম্যান মার্কেটের নৈশ প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতো। পাশাপাশি ওই মার্কেটের পাশে ছোট একটি দোকানে ব্যবসা করতেন তিনি। তবে নৈশ প্রহরী ও ব্যবসার কাজটি আগে করতেন তার পিতা রবি উল্লা। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে নাসির এই দায়িত্ব নেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, রোববার দিবাগত রাতে নাছির তার দায়িত্ব পালন করছিলো। সোমবার ভোরবেলায় নাছিরের বাবা দোকানের সামনে এসে রক্ত দেখতে পেয়ে হাউমাউ করে চিৎকার শুরু করেন। এরপর তার চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন ছুটে এসে চারদিক খুঁজতে গিয়ে মহাসড়কের পাশে নাছিরের খণ্ডিত মরদেহ দেখতে পান।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই নৈশ প্রহরীকে তার দোকানেই কুপিয়ে হত্যার পর সোমবার ভোররাতে কোনো এক সময় মহাসড়কে মরদেহটি ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। এরপর অজ্ঞাত কোনো গাড়ির চাপায় দেহটি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ ঘটনার খবর পেয়ে চান্দিনা থানা পুলিশ ও ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খণ্ডিত মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা কম্বলসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে দাউদকান্দি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আবুল ফয়সল বলেন, খণ্ডিত মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
দাউদকান্দি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী জানান, তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না। রক্তমাখা কম্বল, শরীরের ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন অংশসহ বিভিন্ন আলামত আমরা উদ্ধার করেছি। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।